শেখ হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চাইলেন সারজিস
প্রকাশিত : ২১:১১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের মাটিতে খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা, সংবিধান এবং রাষ্ট্র এটা কোনো দিন একজন ব্যক্তির হতে পারে না, কোনো পরিবারের হতে পারে না। খুনি হাসিনা রাষ্ট্রকে ব্যক্তি ও পরিবারে পরিণত করেছিলেন। এ কারণে তার এমন বিদায় হয়েছে, যা পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র প্রধানের হয়নি। ভবিষ্যতে কোনো রাষ্ট্র প্রধানের হবে কি না সন্দেহ আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিম্বের) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ফাইভ স্টার মাঠে মহান বিজয় দিবস ও জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কবিতা আবৃত্তি মতবিনিময় এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, এখনও যদি এ দেশে নির্বাচনের আগের রাতে পকেটে কয়েক’শ কিংবা কয়েক হাজার টাকা পকেটে ঢুকিয়ে ভোট নেওয়া যায়, তাহলে ওই রাষ্ট্রের ভালো কিছু আশা করা যায় না। জনগণ যদি এখনও টাকার বিনিময় ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এমপি-মন্ত্রী যেই হবে না কেন, তারা দেশের মানুষকে শোষণ করবেন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে সারজিস আলম বলেন, সম্পর্ক হবে দেশের সঙ্গে দেশের। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির কিংবা দলের সঙ্গে দলের নয়। বাংলাদেশের মানুষ ভারতবিরোধী নয়, বাংলাদেশে মানুষ ভারতের জনগণবিরোধী নয়। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদিবিরোধী। যে উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদি মুসলমাদের রক্তের ওপর উঠে ভারতে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যদি কোনো দল বা কোনো মানুষ বিন্দুমাত্র প্রশ্ন করার সাহস করে তাহলে জীবনের বিনিময় হলেও প্রতিহত করব।
লড়াই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিভাজন থাকলে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিবেকবোধকে কেউ দল বা গোষ্ঠীর কাছে যেন বেচে না দেয়। কোনো নেতা যদি প্রত্যাশা করেন, শেখ হাসিনার অন্ধ ভক্ত হই, তাহলে দু’টো বিষয় হবে, একটি ওই নেতার উদ্দেশ্য ভালো নয়, দুই ওই নেতা নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন।
সৈয়দপুরকে পূর্ণাঙ্গ জেলা ঘোষণার ব্যাপারে বক্তব্যের শেষে তিনি উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র প্রতিনিধি জাবেদ আত্তারি। এসময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রেদওয়ান ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, শহর জামায়াতের আমির শরফুদ্দিন খান, শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব খান। সব শেষে ৩৬ জুলাইয়ে বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এমবি
আরও পড়ুন